সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ডাকাতের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। আতঙ্কিত গ্রামবাসী ডাকাতের ভয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। ডাকাতরা নৌকা যোগে হাওর সংলগ্ন গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন রাতেই ডাকাতদের আক্রমণে গ্রাবাসীরা রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন।
জানা গেছে সাম্প্রতিককালে হাওর অধ্যুষিত উপজেলার কলকলিয়া, চিলাউড়া হলদিপুর, রানীগঞ্জ,পাইলগাঁও ও আশারকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।
এ সুযোগে জলদস্যুরা নৌকা যোগে হাওর সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। বুধবার রাতে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল করিম গণির বাড়িতে হানা দেয়।
বাড়িতে থাকা তাঁর বৃদ্ধা মা হুসনমা বিবি জানান,গত কয়েকদিন ধরে পানি বেড়ে যাওয়ার পর থেকে নৌকা যোগে ডাকাতদের আক্রমণ বেড়ে গেছে। আমার বাড়িতে বুধবার রাতে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে আমি আত্বীয় স্বজনদের খবর দিয়ে এনে সারা রাত জেগে পাহাড়া দেওয়ার ব্যবস্হা করলে ডাকাতরা পিছু হটে। আমি খুব আতংকের মধ্যে আছি।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রকিব জানান, প্রতিদিন ডাকাতরা নৌকা যোগে হানা দিচ্ছে। গত দুই দিনে গ্রামের গফুর মিয়া ও হান্দু মিয়ার বাড়ি থেকে সাত টি গরু নিয়ে যায়। তিনি বলেন ডাকাত আতঙ্কে আমরা রাত জেগে পাহাড়ার ব্যবস্হা করেছি।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ মিয়া জানান, বন্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে জলদস্যুদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। গরু চুরিও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে ইউনিয়নের অনেক গ্রামে রাত জেগে পাহাড়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাশিম জানান,ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি অবস্থায় চোর ডাকাতদের আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে বেড়ে গেছে গরু চুরি। বিষয়টি পুলিশ কে অবহিত করা হয়েছে।
আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আবু ঈমানী বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরু চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে জলদস্যুদের উৎপাত।
জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, জলদস্যুদের উৎপাত বন্ধে নৌ টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply